বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ১০:২৭ পূর্বাহ্ন
এলিট ফোর্স র্যাব তার সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকেই জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদ এর বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলস ভাবে কাজ করে আসছে। র্যাবের তথা আইন-শৃংখলা বাহিনীর নিয়মিত অভিযানের ফলে জঙ্গী/উগ্রপন্থী দমনে বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের জঙ্গী/উগ্রপন্থী গোষ্ঠী সমূহ আগের মত শক্তিশালী না থাকলেও গোপনে তারা যেন পুনরায় সংগঠিত না হতে পারে তার জন্য র্যাব সদা জাগ্রত। এর প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে র্যাব বরিশাল অঞ্চলে কয়েকজন জঙ্গী/উগ্রপন্থীর অবস্থান সম্পর্কে তথ্য পায় এবং এদের গ্রেফতারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে তৎপরতা শুরু করে।
র্যাব-৮ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি এর সক্রিয় সদস্য ১। মোঃ শাহীন আলম(২৮), পিতা-মোঃ আলী মিয়া, মাতা-সাহিদা বেগম, গ্রাম- হাসাইল বানারী, পোঃ-হাসাইল বাজার, থানা-টংগীবাড়ী, জেলা-মুন্সীগঞ্জ, বর্তমান ঠিকানা-বাসা নং-৭/এ/১১, ব্লক-এফ, হাজী চিনু মিয়া রোড, আজিজ মহল্লা, মোহাম্মদপুর, ঢাকা, আসামী ২। মনির হোসেন(৩৮), পিতাআব্দুর রউফ গাজী, মাতা-খুকি বেগম, গ্রাম- হাসাইল বানারী, পোঃ-হাসাইল বাজার, থানা-টংগীবাড়ী, জেলা-মুন্সীগঞ্জ, বর্তমান ঠিকানা-বাসা নং-৭/এ/১১, ব্লক-এফ, হাজী চিনু মিয়া রোড, আজিজ মহল্লা, মোহাম্মদপুর, ঢাকাদ্বয়কে ইং ২৫/০১/২০২১ তারিখ আসামীদের উল্লিখিত ঠিকানা হইতে রাত ১০.৩০ ঘটিকার সময় এবং ৩। সৈয়দ নাভিদ ইকবাল(২২), পিতা-সৈয়দ আছিফ ইকবাল, মাতা-জান্নাতুন্নাহার দিনা, বাসা নং-৪৪/সি, (কাজী নজরুল ইসলাম রোড, ব্লক-ই,) আসাদ এভিনিউ, মোহাম্মদপুর,ঢাকাকে ইং ২৬/০১/২০২১ তারিখ ডিএমপি ঢাকার ৪৪/সি, (কাজী নজরুল ইসলাম রোড, ব্লক-ই,) আসাদ এভিনিউ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা বাসা হইতে রাত ০২.৪০ ঘটিকার সময় মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাহারা অত্র মামলার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা সহ উপরোক্ত নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আটককৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাহারা জেএমবি’র দাওয়াতি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত বলে স্বীকার করে এবং দাওয়াতি কাজ পরিচালনার জন্য ঢাকা, মাদারীপুর, বরিশাল সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় গোপন মিটিং, লিফলেট বিতরণ, অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফরমে জঙ্গি তৎপরতা চালনার মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ করত বলেও প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেন। তাহারা বেশ কিছু বছর ধরে জেএমবি কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট। তাহারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা ও চাঁদা সংগ্রহ করত বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় পূর্বে গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদেও ধৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে উগ্রপন্থী কাজের সাথে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং তাদের অন্যান্য সহযোগীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাব-৮ তৎপর রয়েছে।